স্বদেশ ডেস্ক:
ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনারা হস্তক্ষেপ করবে কিনা এ নিয়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতি তপ্ত হয়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলো ধারাবাহিক হুশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ লিভারপুরে অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলনে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিস ট্রুস বলেছেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেনে হস্তক্ষে করে তা হলে তাকে চড়া মূল্য দিতে হবে। একই সুরে কথা বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। খবর বিবিসি।
সম্প্রতি ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার প্রায় এক লাখ সেনা মোতায়েন করার ওই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। মার্কিন মিত্র দেশগুলো বলছে, রাশিয়া ইউক্রেনে হস্তক্ষেপ করতে যাচ্ছে। তবে গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের মধ্যে ভার্চুয়াল বৈঠকে পুতিন বলেছেন, রুশ সেনা কারও জন্য হুমকি তৈরি করবে না। রুশ সংবাদমাধ্যম এমন সংবাদ পরিবেশন করেছে। গত মঙ্গলবার ইউক্রেন সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে এ বৈঠক করেন। তবে বৈঠকের পর বাইডেন জানান, তিনি পুতিনকে পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, রাশিয়া যদি ইউক্রেন আক্রমণ করে বসে তা হলে নজিরবিহীন অর্থনীতিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গত শনিবার জো বাইডেন সাংবাদিকদের আবারও একই হুশিয়ারির কথা জানান।
এদিকে ইউক্রেনও বলছে, আগামী বছরের জানুয়ারির শেষ দিকে রাশিয়াকে ইউক্রেন সামরিক আগ্রাসন চালানোর পরিকল্পনা করেছে। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, এ বিষয়ে পুতিন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন কিনা তা পরিষ্কার নয়। এমন প্রেক্ষাপটে গতকাল রবিবার লিভারপুলে বাইডেনের সুরের প্রতিধ্বনী দিয়ে বলেন, আমরা এটা পরিষ্কার করতে চাই যে, রাশিয়া যদি ইউক্রেনে সামরিক হস্তক্ষেপ করে তা হলে তাদের এমন চড়া দাম দিতে হবে যা অতীতে তারা দেখেনি। অন্যদিকে রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে উসকানির অভিযোগ করেছে যে, রুশ সীমান্তে ন্যাটো সেনারা আধুনিক অস্ত্র মোতায়েন করেছে। এ ছাড়া সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে গণহত্যার অভিযোগ তুলেছেন পুতিন। অন্যদিকে রুশ হামলা ঠেকাতে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভøালাদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ইতোমধ্যেই ফোনে আলাপ সেরে ফেলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।